ছবি: সংগৃহীত |
জগদীশচন্দ্র বসু, বেতারবিজ্ঞানের জনক, 1958 সালের 30 নভেম্বরে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে (তখনকার ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বিক্রমপুরে) জন্মগ্রহণ করেন। তার পেশাদার জীবনে বেতার, মাইক্রোওয়েভ, এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানে অবদান রেখেছেন। জগদীশচন্দ্র বসু একই সময়ে পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিদ, প্রত্নতাত্ত্বিক এবং প্রথম দিককার কল্পবিজ্ঞান লেখক হিসেবেও পরিচিত। তিনি বেতার ও মাইক্রোওয়েভ অপটিকসে গবেষণা করেন এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানে তার গবেষণা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন, যা দিয়ে গাছের বৃদ্ধি নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা যায়। তার সাফল্যের মাধ্যমে বেতারযন্ত্রের উদ্ভাবন সম্ভব হয়।
তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক সংস্থা, ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই), জগদীশচন্দ্র বসুকে 'বেতারবিজ্ঞানের জনক' ও বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনির জনক হিসেবে সারাদুনি পূর্ণ করেছে। তিনি 1904 সালে যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্ট অর্জন করেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মর্মান্তিক উপলব্ধি অর্জন করেন।
জগদীশচন্দ্র বসু তার শিক্ষাপ্রাপ্তস্থানগুলির মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। একেবারে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে এসে তিনি 1885 সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
জগদীশচন্দ্র বসুর অমূল্য অবদানের মধ্যে রয়েছে তার প্রযুক্তিবিদ্যা সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা, যেগুলির মধ্যে রয়েছে 'রেসপন্স ইন দ্য লিভিং অ্যান্ড নন–লিভিং' (1902), 'প্ল্যান্ট রেসপন্স অ্যাজ আ মিনস অব ফিজিওলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন' (1906), 'কমপ্যারেটিভ ইলেকট্রো–ফিজিওলজি' (1907) এবং 'মোটর মেকানিজম অব প্ল্যান্টস' (1928)। তার এই গ্রন্থগুলি তার গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক বৃদ্ধির জন্য এক অমূল্য সংপদ। 1917 সালে, তিনি যুক্তরাজ্যে নাইট ব্যাচেলর উপাধি অর্জন করেন, এবং এর আগে 1903 সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সিআইই এবং 1911 সালে সিএসআই পদক অর্জন করেন। জগদীশচন্দ্র বসু 1937 সালের 23 নভেম্বরে মারা গেছেন, তবে তার অসমাপ্ত গবেষণা এবং বিজ্ঞানের জন্য তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
আপনাদের মতামত আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই আপনার মতামত প্রকাশ করতে আমাদের কমেন্ট বক্স ব্যবহার করুন......